হাথরস থেকে হাঁসখালি--"Hathras Insident"
হাথরসের সময় আমরা মোমবাতি জ্বেলেছিলাম
মৌনমিছিলে স্তব্ধ করেছিলাম জনপদ।
কয়েক'শ মাইলের ভৌগলিক বাঁধা অতিক্রম করে
কিশোরীর ধর্ষিত শরীরের পোড়া মাংসের কটু গন্ধে
ভারী হয়েছিল আমাদের নাসারন্ধ্র।
দূরদর্শনের পর্দায় বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদের গর্জনে
বুক ফাঁটা আর্ত্তনাদের কুম্ভীরাশ্রুতে
প্লাবন উঠেছিল মজা গঙ্গায় ;
শীততাপনিয়ন্ত্রিত স্টুডিওতে বসেই
উপড়ে ফেলেছিলাম যোগীরাজের
উত্তরায়নের সিংহাসন।
কিন্তু আজ আমরা কোথায়?
কোথায় স্টুডিও কাঁপানো
উচ্ছিষ্টভোজী নপুংসক বুদ্ধিজীবির দল?
আজ আমরা সবাই মৌনীবাবা কেন ?
কোন মোমবাতি এখনও জ্বলে নি
রাজপথ উদ্বেলিত হয় নি প্রতিবাদী মিছিলে ;
কেন না
আজকের পটভূমি হাথরস নয়, হাঁসখালি
একই নাটকের পুনরাভিনয়
রঙ্গমঞ্চ শুধু আলাদা --
উত্তরপ্রদেশ নয়, আমাদেরই অতি গর্বের বঙ্গপ্রদেশ ;
কুশীলবও ভিন্ন --
যোগীরাজের মদতপুষ্ট গুন্ডাবাহিনী নয়
শাষকের একনিষ্ঠ সেনার সুযোগ্য সন্তান।
তাই বুঝি আমরা আজ শান্তিপ্রিয় জনতা
তাই বুঝি উচ্ছিষ্টভোগী রসনা আজ নির্বাক !
তবুও প্রচেষ্টা অব্যহত
হতভাগিনীর চরিত্রে কালিমা লেপনের,
বরাবরের ন্যায় দামাল শিশুর দুষ্টুমির তকমা সাঁটার অদম্য প্রয়াস,
তদন্তের অভিমুখ ঘোরানোর
শয়তানি অভিসন্ধি।
ভাবতে খুব অবাক লাগে --
আদৌ কী কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা!
ভৌগলিক অবস্থান ছাড়া
আর কী বিশেষ কোন তফাৎ আছে
উত্তরে আর পূবে?
সত্যিই কোন প্রভেদ আছে কী
হাথরসে আর হাঁসখালিতে ?
--- প্রশান্ত পাইন
দমদম
১২/০৪/২০২২
Comments